বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
আজ আমি বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম বা বিতরের নামাজ পড়ার পদ্ধতি আলোচনা করব। বিতর হল একটি আরবি শব্দ যা বিজোড় সংখ্যা কে নির্দেশ করে।
রাতে আমরা বিজোড় নামাজ পড়ি বিদায় এর নাম নামকরণ করা হয়েছে বিতর নামাজ।
অথবা এই সালাত তিন রাকাত তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে বিতর।
এই নামাজ আমরা বিজোড় সংখ্যার মধ্যে এক রাকাত, তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত, সাত রাকাত
এবং নয় রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়। ইশার সালাতের পর বিতর নামাজ পড়া ওয়াজিব।
আরো পড়ুনঃতারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল।
পবিত্র রমজান মাসে তারাবির সালাত আদায় করার পর জামায়াতের সহিত ইমামের সঙ্গে বিতর নামাজ আদায় করে থাকি।
বিতরের নামাজ আদায় করার ব্যাপারে হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, বিতরের নামায আদায় করা অপরিহার্য।
আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিতর নামাজ পড়বে না সে আমাদের জামায়াতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। এই হাদীসটি আবু দাউদে বর্ণিত আছে।
আসুন জেনে নেই বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম অথবা বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া যা আমাদের জন্য জানা অত্যাবশ্যক।
বিতর নামাজের ইতিহাস
বিতর নামাজের ইতিহাস বা বেতের নামাজের ইতিহাস জানতে এই প্যারাটি পড়ুন।
হাদীসে বর্ণিত আছে যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম যখন মিরাজে গেলেন।
তখন ষষ্ঠ আকাশে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম এর সাথে হযরত মুসা আলাই সালাম এর সাক্ষাৎ হয়।
মুসা (আ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললেন সিদরাতুলমুনতাহায় গিয়ে আপনি আমার জন্য এক রাকাত নামাজ আদায় করবেন।
তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আমি আপনার জন্য এক রাকাত নামাজ আদায় করব।
যাইহোক যখন তিনি ওইখানে পৌঁছালেন, তখন মুসা (আ) কে দেওয়া কথা স্মরণ করলেন।
তার জন্য এক রাকাত নামাজ আদায় করলেন। তারপর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আরেক রাকাত নামাজ আদায় করেন।
এবং নিজের জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরও এক রাকাত সালাত আদায় করেন।
তৃতীয়বারের সময় তিনি উল্টা তাকবীর দিয়ে রুকু এবং সেজদাতে যান।
ফলে আল্লাহ তা’আলা এই নামাজকে খুবই ভালোবেসে ফেলেন। তারপর তা উম্মতি মোহাম্মদ এর উপর ওয়াজিব করে দেন যা বিতর নামাজ হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুনঃ ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দার হুকুম ও নারীর মর্যাদা।
বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
এশার বিতর নামাজের নিয়ম জানতে এই প্যারাটি পড়ুন। অন্যান্য ফরজ সালাতের মতো ২ রাকাত সালাত আদায় করে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়ার পর ৩য় রাকাত আদায় করার জন্য উঠে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোন সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়া এবং তা সম্পূর্ণ করার পর তাকবির বলে ২ হাত কান পর্যন্ত তুলে তাকবির তাহরিমা করে আমাদের হাঁত বাধতে হবে।
তারপর আমদের শব্দ ছাড়া দোয়া কুনুত পড়া। দোয়া কুনুত সম্পর্ণ করার পর আগের মতো রুকু এবং সেজদা আদায় করার পর তাশাহুদ, দুরুদ, দোয়া মাছুরা সম্পূর্ণ করা।
পরিশেষে আমদের সালাম ফিরায়ে বিতর নামাজ সম্পূর্ণ করা।
বিতর নামাজ পড়ার সময় আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা যদি দ্বিতীয় রাকাতে মনের ভুলে দোয়া কুনুত না পড়ি।
এবং সেজদায় অবতরণ করি। তাহলে এখন আমাদের কি করা উচিত? এই প্রশ্নটা আমাদের অনেকের মধ্যেই আছে।
তখন আমরা সালাতে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে সাহু সেজদা করলেই হয়ে যাবে। আবার যদি মনের ভুলে প্রথম অথবা দ্বিতীয় রাকাতে দোয়া কুনুত পড়ে ফেলেন তার জন্যও আপনাকে সাহু সেজদা দিতে হবে।
তাই বলা যায় বিতরের সালাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদের প্রতিদিন বিতরের সালাত পড়ার তৌফিক দেয়।
আরো পড়ুনঃ জানাজার নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
এক রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
১ রাকাত বিতর সালাত আদায় করতে অন্যান্য সালাতের মত সূরা ফাতিহাসহ অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়া।
ওই সূরাটি সম্পূর্ণ পড়ার পর দোয়া কুনুত পাঠ করে রুকু এবং সেজদা দেওয়া। এবং অন্যান্য সালাতের মতো সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পন্ন করা।
তবে আমরা আরেকটি পদ্ধতিতে বিতর নামাজ পড়তে পারি।
ঠিক তেমনি ভাবে সূরা ফাতিহার পরে অন্য একটি সূরা শেষ করে আমরা রুকুতে যাব।
তারপর সেজদায় না গিয়ে উঠে মুনাজাতের মাধ্যমে হাত উঠিয়ে দোয়া কুনুত পড়া সম্পন্ন করব।
পরিশেষে হাত ছেড়ে দিয়ে সেজদার মাধ্যমে অন্যান্য সালাতের মতো ছালাম ফিরিয়ে বিতর নামাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ উওম চরিত্রের গুনাবলি
৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
তিন রাকাত বিতর নামাজের তিনটি উপায় রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা।
প্রথম উপায়টি হলো অন্যান্য সালাতের মতো দুরুদ শরীফ। এবং দোয়া মাসুরা পড়ে দুই রাকাত সালাত আদায় করে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
তারপর ঠিক যেভাবে ১ রাকাত বিতর সালাত পড়ি। ঠিক সেভাবেই এক রাকাত সালাত আদায় করতে হবে। আরেকটি পদ্ধতি হলো অন্যান্য সালাতের মতো দুই রাকাত আদায় করে দ্বিতীয় বৈঠকে না বসে উঠে যেতে হবে।
এখন সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা পড়ে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে।
এবং রুকু এবং সেজদা করে সালাম ফিরানোর মাধ্যমেই সালাত সম্পন্ন করতে হবে।
আর শেষ পদ্ধতিটি হলো আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়মে নামায আদায় করা।
আর আমিও এভাবেবিতর নামাজ আদায় করি। এই পদ্ধতিতে দ্বিতীয় বৈঠক সহ আমাদের দুই রাকাত সালাত আদায় করতে হবে।
তারপর তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করার পর আমাদের তাকবীর দিয়ে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে।
পরিশেষে রুকু এবং সেজদা দিয়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে আমাদের সালাত সম্পন্ন করতে হবে।
আশা করি তিন রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২
৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত
অনেক মুসলিম ভাই আছে যারা গুগলে সার্চ করে থাকে এই কিওয়ার্ডটি লিখে “বিতরের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ“। নিয়ত হলো নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাসা রাক’আতাই সালাতিল বিতরে মুতওয়াজ জিহানিল্লাহ জিহাতি কা’বাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
বিতর নামাজের আরবি নিয়ত
আসলে অনেকেই বিভিন্ন নামাজের নিয়ত লিখে গুগলে সার্চ করে থাকে।
মূলত কোন হাদিস নেই যে আপনাকে নামাজের আগে নিয়ত আরবীতে উচ্চারণ করে বাধতে হবে।
প্রথমে নিয়ত বিষয়টা আমাদের বুঝতে হবে।
এটা হল একটা মনের ইচ্ছা অথবা আকাঙ্ক্ষা অর্থাৎ আপনি ঘর থেকে বের হয়েছেন যে নামাজের জন্য এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট।
তার জন্য নির্দিষ্ট করে নিয়ত বাঁধতে হবে না।
আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখার নিয়ম ২০২২
বিতর নামাজের বাংলা নিয়ত
আমাদের মধ্যে যারা আরবি পড়তে পারি না তারা বাংলা নিয়তি বিতর নামাজ আদায় করবেন।
এই নিয়ত হলো আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর নামে বিতরের সালাতের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।
পাঁচ, সাত বা নয় রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নেই
পাঁচ, সাত বা নয় রাকাত বিতর নামাজ অন্যান্য বিতর সালাতের মত আদায় করতে হবে।
তবে একটি শর্ত হলো আমরা দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে পারবো না।
এক্ষেত্রে আপনি একবারে বিতর সালাত আদায় করতে পারবেন। আর তা হলো শেষ বৈঠকে বসে সম্পন্ন করবেন।
অথবা শেষের দুই রাকাতে ও আপনি বৈঠকে যেতে পারবেন।
আর তা হলো পাঁচ রাকাত বিতর সালাতে চতুর্থ এবং পঞ্চম রাকাতে বৈঠকে বসতে পারবেন।
সাত রাকাত বিতরে ষষ্ঠ এবং সপ্তম রাকাতে আপনি বৈঠকে যেতে পারবেন।
পরিশেষে নয় রাকাত বিতর সালাত এই অষ্টম এবং নবম রাকাতে আমরা বসে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করতে পারি।
উপরের সব পদ্ধতিতেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বিতর নামাজ আদায় করেছেন।
এখানে আপনাদের মনে কোশ্চেন আসতে পারে তাহলে কেন এত মতানৈক্য?।
আমরা সবাই মোটামুটি জানি আমাদের ইসলামের চারটি মাযহাব আছে। এই মাযহাব গুলো হল হানাফি, মালিকি, শাফি এবং হাম্বলী।
এই মাছআপ গুলোতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিতরের নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে।
এই কারনেই আমাদের মধ্যে মতানৈক্য এই বলে যে আমরা অন্যান্য মাযহাবের পদ্ধতি অনুসরণ করবো না তা নয়।
আমাদের বাংলাদেশে অধিকাংশ মুসলিম হানাফী মাযহাব অনুসরণ করে থাকে। এবং সেই অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করি।
তাই আমাদের মধ্যে যেই মাযহাব অনুসরণ করি না কেন আমরা সে অনুযায়ী আমাদের বিতরের সালাত আদায় করার চেষ্টা করবো।
এটাই আমি সর্বোত্তম বলে মনে করি। কেননা যদি আপনাদের মধ্যেই অধিকাংশ হানাফী মাযহাবের হয়ে থাকে।
আর আপনি যদি এখানেই শাফী মাযহাবের নিয়ম অনুযায়ী বিতর সালাত আদায় করেন তাতে ঝগড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে এই বলে অন্য মাযহাবের পদ্ধতি ভুল তা কিন্তু আমি বলিনি।
প্রকৃতপক্ষে আমরা তিন রাকাত বিতর নামাজের পদ্ধতির মধ্যে তৃতীয় যেই নিয়মটা আছে সেটা অনুসরণ করে থাকি।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন, নিয়ত, সুরা, রাকাত, মোনাজাত
বিতর নামাজ পড়ার সঠিক সময়
মূলত এশার সালাত আদায় করার পর থেকেই বিতর নামাজ আদায় করার সময় শুরু হয়। ফজর নামাজের ওয়াক্তের শুরুতে এই সময় শেষ হয়।
আপনাদের মধ্যে কারো যদি তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এই নামাজ পড়ে আপনি বিতর সালাত আদায় করতে পারেন।
আর যদি এই অভ্যাস না থাকে তাহলে এশার নামাজের পর পরই বিতর সালাত আদায় করবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনাদের একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে দুই থেকে চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে বিতর সালাত আদায় করা উওম।
আশাকরি বিতর নামাজ কখন পড়া উত্তম তা জেনেছেন।
রমজানে বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম

রমজানে চার রাকাত ইশার সালাত আদায় করার পর বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ে বিতর নামাজ পড়া উওম। এই নিয়ম হাদিসেও বলা হয়েছে।
হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা থেকে বর্ণিত একটি হাদিস আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
একথা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রমজান মাসের এক রজনীতে বাহিরে আগমন করলেন।
এবং সাহাবাদেরকে ২৪ রাকাত সালাত আদায় করালেন।তারপর তিন রাকাত বিতর নামাজ আদায় করলেন।
অর্থাৎ উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝতে পারি রমজান মাসে বিতর নামাজ তারাবির পরে পড়া উত্তম।
মহিলাদের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
অনেক দ্বীনি বোনেরা গুগলে সার্চ করে থাকে “মেয়েদের বেতের নামাজের নিয়ম বা মহিলাদের বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম“।
এর উওর হলো- পুরুষদের ন্যায় মহিলারাও একইভাবে বিতর নামাজ সম্পন্ন করবে।
আর তা হলো এশার নামাজের পর দুই রাকাত নামাজে প্রথম বৈঠকে বসে ৩য় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা পড়ে দোয়া কুনুত পড়ে রুকু সেজদা করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এভাবেই মহিলাদের বিতর নামাজ পড়া উচিত।
বিতর নামাজের দোয়া
বিতর নামজের দোয়া হলো আল্লাহুম্মা ইন্না তা’ইনুকা ওয়ানাসতাগ ফিরুকা ওয়ানুমিনুবি’কা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা। ওয়া নুসনী আলাইকাল খাইর ওয়া নাশকুরুকা।
ওয়ালা নাকফুরুকা ওয়ানাখলাউ ওনাতরুকু মাই ইয়াফ জুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়ালাকা নুছাল্লি। ওয়া নাসজুদু ওয়া ইলাইকা না’সআ ওয়া নাহফিদু ওয়া নার্জু।
রাহমাতাকা ওয়া নাকশা আ’যাবাকা ইন্না আ’যাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক। এই দোয়া বিতর নামজে পাঠ করবেন।
এর অনুবাদ হলো হে প্রভু, নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই।
এবং তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এবং তোমার উপর আমরা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করি।
তোমার উপর ভরসা রাখি এবং তোমার এই গুলু গানগুলি।
এবং তোমার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করি। এবং আমরা তোমার দোষারুপ করি না। যাহারা তোমায় মানে না, তাহদেরকে প্রত্যাখান করি।
হে প্রভু, আমরা তোমরই প্রার্থনা করি এবং তোমার খুশির জন্য সালাত আদায় করি, তোমার সামনেই মাথা নত করি এবং তোমার দিকেই ফিরে আসি।
তোমার করুণার আশা রাখি এবং আজাবকে ভয় করি। তোমার আজাব কাফেদের উপরই পতিত হবে।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজ নফল না সুন্নত
বিতর নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে
অন্যান্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মত বিতর ছাড়লেও গোনা হবে যদি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকেন।
কেননা আমরা সবাই জানি বিতর নামায পড়া ওয়াজিব যা ঠিক ফরজের কাছাকাছি।
তাই যে ব্যক্তি যে ব্যক্তি ইচ্ছেকৃতভাবে বিতর ছাড়বে,তার অবশ্যই গুনা হবে।
আর যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে দেয়, তাহলে অবশ্যই এর কাফফারা আদায় করতে হবে যা ফরজ নামাজেও আছে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিতর নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে কি হবে না।
তাই আমরা কখনও বিতর নামাজ ছাড়বো না ইনশাআল্লাহ।
আশা করি বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।
নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট Foodtips24 এ যুক্ত থাকুন। এবং আমাদের ফেসবুক পেইজের সাথে যুক্ত থাকুন।